২০১০ সাল থেকে রেজাউল ইসলাম কানাডার টরেন্টোতে বসবাস করে আসছেন। লেখালেখির শুরুতে ইসলামের বিরুদ্ধে এবং ধর্মীয় অবমাননাকর বিভিন্ন পোষ্ট দিয়ে মানুষের নজরে আসে। যখন সারা বিশ্বে ইসলাম উগ্রপন্থীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছিলো তখন রেজাউল ইসলাম তার লেখনীর ধারা পরিবর্তন করে পরবর্তীতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং আওয়ামীপন্থী লেখালেখি করে তার লিখনীর ইউটার্ন নেন।
সম্প্রতি টরেন্টোর চলন্ত সাবওয়েতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রতী দাশ দত্তকে যৌন আবেদন করেন এই উগ্রবাদী লেখক রেজাউল ইসলাম। এমনকি ফোন নাম্বার দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে যৌন হয়রানী করার চেষ্টা করেন তিনি। ভুক্তভোগী সেসব দৃশ্য তার নিজস্ব মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে কানাডার বাংলা কমিউনিটিতে রেজাউল ইসলামকে নিয়ে নেটিজেনরা বিদ্রুপ মন্তব্য করেন। পাশাপাশি রেজাউল ইসলামের সাথে তাদের ঘটে যাওয়া নানা অভিজ্ঞতার কথাও তারা তাদের মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী কানাডার পরিচিত মুখ সুব্রত কুমার দাসের মেয়ে ব্রতী দাস দত্তের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
রেজাউল ইসলাম নামের এক ভদ্রলোকের কথা আমি শুনেছি, তার ফেসবুকে কিছু পোস্টও দেখেছি। আজকে সামনাসামনি ওনাকে দেখি সাবওয়েতে, আগে সামনাসামনি ওনাকে না দেখার কারণে ঠিক চিনতে পারিনি – তাই হয়ত অন্যমনস্কভাবে তার চেহারা আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করছিলাম। হঠাত দেখি ভদ্রলোক আমার দিকে চোখ টিপ মারলেন! আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি সে ব্যাগ থেকে একটা কলম নিয়ে একটা কাগজে কিছু একটা লিখছেন। একটা মেয়ে আর কিছু না বুঝলেও পুরুষদের খারাপ নজরটা সবসময় বোঝে। তাই ফোন বের করে তখনি ব্যাপারটা রেকর্ড করা শুরু করলাম। লোকটি কাগজে তার ফোন নাম্বার লিখে তুলে ধরলেন আমার উদ্দেশ্যে!
এই ভদ্রলোক বিবাহিত, আমার বয়সী তার একটি মেয়ে আছে। অচেনা একটা মেয়ে সাবওয়েতে তার দিয়ে দুই মিনিট তাকানোতে সে কী উদ্দেশ্য নিয়ে তার ফোন নাম্বার তুলে ধরতে পারে সেটা আর না-ই ভাবি।
এসব লোকেরা সারাদিন অন্যদের নিয়ে অপপ্রচার করে আর সাবওয়েতে এসব করে। অন্যরা তাকে ভদ্রলোক বলে ধন্য ধন্য করে – কত সুন্দর সমাজ আমাদের!
টরেন্টোর আরেক পরিচিত মুখ দুরন্ত প্রকাশ তার টাইমলাইনে শেয়ার করে লিখেছেন – আমি লোকটাকে ভদ্রলোক মনে করতাম। অনেক ভাল ভাল কথা বলে বেড়ান। কে জানতো উনি একজন পারভার্ট। মেয়ের বয়সী মেয়ের সাথে সাবওয়েতে ফ্লার্টি করে, চোখ মারে, ফোন নম্বর ওয়েভ করে। এই পোষ্ট দেখার পর থেকে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে।
চন্দনা দত্ত তার মন্তব্যে লিখেছেন –বাংলাদেশের মহামারী রোগ বিদেশে প্রচার করার প্রচেষ্টা…..
রিনা রহমান তার মন্তব্যে লিখেছেন- Sick pervertএরা! সাবাস ব্রোতী! এদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত এ ভাবে!! আরো বেশী করে viral করা দরকার! এর বউ মেয়ে কেও পাঠিয়ে দেয়া দরকার!